মুলতানে স্পিনযুদ্ধে পাকিস্তানরাজ
১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম
মাথা, কোমর পর্যন্ত কাটা শেষ। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে জোমেল ওয়ারিকান যখন মাঠে নামলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন রীতিমতো থরথর। ৬৬ রানে নেই ৮ উইকেট। ১০০ রানের নিচে তো বটেই, উঁকি দিচ্ছিল গত দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা। ২০০৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ রানে অলআউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর গত ২০ বছরে আর সত্তরের নিচে অলআউট হয়নি। তবে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ওয়ারিকান সেই শঙ্কা দূর তো করেছেনই, দলকে ফলো অন করা থেকেও বাঁচিয়েছেন। তবে কৃতিত্বটা একা ওয়ারিকানের নয়। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ৯ নম্বরে নামা গুড়াকেশ মোতি আর ১১ নম্বর জেডেন সিলসও। শেষ তিন জনের ব্যাটে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত করেছে ১৩৭ রান। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ তখন ৯৩ রান দূরে থাকতে দিনের শেষ সেশনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে অধিনায়ক শান মাসুদের ফিফটিতে ১০৯ রান তুলেছে পাকিস্তান।
গতকাল মুলতানে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটির দ্বিতীয় দিনে ক্যারিবীয়দের বিপর্যয়ে ফেলেছেন দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান। প্রথমেই বল হাতে তুলে নেওয়া সাজিদ নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারের ১১ বলের মধ্যেই তুলে নেন ৪ উইকেট। স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের হাঁসফাঁস করতে দেখে পাকিস্তান অধিনায়ক পেসার খুররম শেহজাদকে এক ওভার করিয়ে আর বলই দেননি। অফ স্পিনার সাজিদের সঙ্গে অন্য প্রান্তে আক্রমণে যুক্ত করেন নোমান আলীকে। সাজিদ প্রথম ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর দায়িত্ব নেন নোমান। এই বাঁহাতি স্পিনার তুলে নিয়েছেন টানা ৫ উইকেট। দেশের মাটিতে পাকিস্তানি স্পিনারদের অবিশ্বাস্য আধিপত্যের গল্পে এতে যোগ হলো নতুন একটি অধ্যায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের শেষ দুই টেস্টে ৪০ উইকেটই নিয়েছিলেন পাকিস্তানি স্পিনাররা। সাজিদ খান আর নোমান আলীই যার ৩৯টি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেও ১০ উইকেটই স্পিনারদের, যার ৯টি নিয়েছেন সাজিদ ও নোমান। এদিন পাকিস্তানের পতন হওয়া ৩ উইকেটের দুটি নেয়া ওয়ারিকানও স্পিনার।
মোতি ও ওয়ারিকান নবম উইকেটে যোগ করেন ২৫ রান। মোতি ২৫ বলে ১৯ রান করে আউট হওয়ার পর দশম উইকেটে আরেকটি ভালো জুটি গড়েন ওয়ারিকান-সিলস। এই জুটি অবশ্য টিকে থাকার চেয়ে তেড়েফুড়ে মারার দিকেই মনোযোগী ছিল। মাত্র ২১ বলের জুটিতে দুজন যোগ করেন ৪৬ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি থামে আবরার আহমেদের বলে সিলস উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ হওয়ার মাধ্যমে। সিলস ১৩ বলে ৩ ছক্কায় করেছেন ২২ রান। আর ওয়ারিকান একপ্রান্তে অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ১ ছয় ৪ চারে ৩১ রান নিয়ে। ওয়ারিকান ৩১*, সিলস ২২ ও মোতি ১৯- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সর্বোচ্চ তিনটি ইনিংসই এসেছে শেষ তিন ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। অতিরিক্ত খাত থেকেও এসেছে ২২ রান।
এর আগে পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানে অলআউট হয়। পঞ্চম উইকেটে রিজওয়ান-সৌদ শাকিল ১৪১ রানের জুটি গড়লেও ৪৭ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৩টি করে উইকেট নেন সিলস ও ওয়ারিকান।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান
ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল
অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা
রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি
বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান
২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরো ৪৭
প্লাটফর্ম বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
শক্তিশালী অর্থনীতি ও গর্বিত জাতি গড়তে শহীদ জিয়ার দর্শন ধারণ করতে হবে : আমির খসরু
কী আছে তৌফিকার লকারে?
ঘটনার তিনদিন পর থানায় মামলা
অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের পাঁয়তারা
শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দুরবস্থা
৯৬টি সিএনজি ভাঙ্গাড়ি হিসাবে সাড়ে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি
৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ